Posts

Showing posts from 2021

জাগো সংগ্রামী

Image
দেখো, দেখতে পাও, লাশের মিছিল? যেন কোনো এক অদৃষ্টের নিষ্ঠুর বদান্যতার উদ্দাম খেয়ালে নিঃশেষ হয়ে আসা নক্ষত্রের শামিল। দেখো, ওই যে দেখো, ডানা ঝাপটায় বন্দী পাখি। শুধু শৃঙ্খলে গড়া সেই দুহাত দুনিয়াই জানে তার নির্ঘুম নিঃসঙ্গ রাতের আকুল কাকুতি। দেখো, চেয়ে দেখো, দূরে ছোরা হাতে অপেক্ষারত ঘাতক। তোমার রক্তের আস্বাদে পিপাসার্ত ক্ষুধিত নরককীটের মত তোমার ক্ষয়কাশে অট্টহাস্যে মহাপাতক| শোনো, শুনতে পাও, হাভাতের কান্না? যেন এক অসুরের নির্মম নির্দয় আঘাতে মিইয়ে যাওয়া সুরের নিষ্পিষ্ট বেদনা। শোনো, ওই যে শোনো, কে যেনো কড়া নাড়ে বাইরে। ন্যায়ের সৌপ্তিকপর্বের সমাপ্তি ঘটিয়ে অবতার হাজির আজ তোমার লুন্ঠিত দুয়ারে। শোনো, আবার শোনো, ডাক এসেছে অনিবার্য সংঘর্ষের। সীমানাহীন চক্রবালে রক্তিম সূর্যের মত জাগ্রত হয়ে শুদ্ধ কর, মুক্ত কর, অবসান ঘটাও এ অসীমচক্রের।

Book Review (জাল - আবু ইসহাক)

Image
এরপর থেকে যখনি ক্রিপ্টোগ্রাফির কোনকিছু নিয়ে পড়বো কিংবা সামনে আসবে সমস্যা সমাধানে, এই বইটার কথা যে মাথায় ভেসে উঠবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারি। প্রথম কোন বাংলা উপন্যাসে এভাবে একদম পাঠ্য বইয়ের মত করে কোন cipher text ( গুপ্ত সংকেতলিপি) decipher (পাঠোদ্ধার) করতে দেখলাম। বলতে গেলে পুরোপুরি বিজ্ঞানভিত্তিক এবং বাস্তবসম্মত গোয়েন্দা উপন্যাস। কোন অশেষ সিক্সথ সেন্স ওয়ালা গোয়েন্দা না, কোন ভাগ্যবান হিরো না,  একটা সাধারণ ডিটেক্টিভ দলের জাল টাকা ছাপানোর জালিয়াতি চক্রকে অসীম ধৈর্য নিয়ে ধরার কাহিনীকে ঘিরে এত মারাত্মক একটা উপন্যাস। ১৯৫০ সালের এরকম জাল নোটের কিছু চক্রকে ধরার কাহিনী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা এইটা। লেখক নিজে একজন ডিটেকটিভ ছিলেন এবং ১৯৫০ সালের কেস গুলায় তিনি নিজেই তদন্তে ছিলেন। তো ১৯৫৪ সালে প্রথম বইটা লিখলেও তা প্রকাশ করেন ১৯৮৮ তে। বইতে শুধু যে চোর-বাটপার ধরা নিয়ে তাই কিন্তু না, এখানে সুন্দর একটা প্রেমকাহিনী আছে, একটা সামাজিক সমস্যারও মজাদার উপস্থাপন আছে। নিজের কাছে মনে হয়েছে, "জাল" এক বসায় পড়ে ফেলার মত বই।   এখন ব্যাপার হল এখানে যে পদ্ধতিতে সংকেতলিপির পাঠোদ্ধার কর...