অভ্যুত্থান

তুমি এসেছিলে আমার স্বপ্নে, আমার হ্যালুসিনেশনে। আমার ধ্বনি আজ কন্টকিত, কুন্ডলিত হয়ে আসে চোখের মনি, যন্ত্রনা প্রতিটি ক্ষণে। সৃষ্টি থমকে দাঁড়ায়, তাকিয়ে দেখে এক বিষাক্ত মরিচীকায় দানা বেঁধেছে কিছু উশৃংখল কামনা। আর ক্ষুধার তাড়না ভূত হয়ে ঘর বাঁধে ওই দূর্ভাগার ঘাড়ে। লোলুপ দৃষ্টি হানে শকুনেরা অবিরত কাঙালের ভান্ডারে, নিরাসক্ত নিরুপায় সজ্জন তাই দেখে হয় পরিশ্রান্ত, হয় হাহাকারেই ক্ষান্ত। শুধু প্রজ্জ্বলিত হয়ে ওঠে কিছু ভাবাবিষ্ট আবেগ। উন্মত্ত, ঝাঁঝাল, প্রকুপিত এক আলোড়ন, যার এক লহরীর প্রকম্পিত হিল্লোলে জাগ্রত হয় সহস্র নিনাদ সহস্র কল্লোলে। সেই অতীন্দ্রিয় সময়ে জেগে ওঠে মহাকাল, সমাপ্তির ঘটায় প্রারম্ভ, যুগান্তরে লাগে দোল। সময়ের বুভুক্ষু গ্রাসে নিষ্পেষিত অত্যাচারী আজ নির্জিত, নিকৃত, ক্ষয়িত। তাই অতন্দ্র প্রহরীর অগণিত বিনিদ্র রজনীর হয় অবসান। চৌহদ্দির গন্ডি আজ অতিক্রান্ত, ক্রান্তিলগ্নে কাল, একাকার আজ সকল সীমা, সকল কান্ধা, সকল বাধা এই অসীম মহাযজ্ঞে। অভ্যুত্থান জ্বলতে থাকে এক চিরন্তন অগ্নিশিখার মত, যার অনল ছড়িয়ে পড়ে সকল স্থানে,সকল স্তবকে।